লক্ষ্মীপুর

ইটভাটায় শ্রমিককে শিকলে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের একটি ইটভাটায় এক শ্রমিককে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন ও তার স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। 

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে ভুক্তভোগী নারী এ অভিযোগ করেন। বিকেলে তিনি সদর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিনকে ঘটনাটি জানান।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চররমনী গ্রামের বনফুল ব্রিকস এন্ড কোম্পানিতে (বিবিসি) এই ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী। এরপর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। 

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্যাতিত ব্যক্তি চট্টগ্রামের আজিমপাড়া এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। পরিচিত একজনের সঙ্গে তিন মাস আগে তিনি লক্ষ্মীপুরের ওই ইটভাটায় কাজ করতে আসেন। তিনদিন আগে ওই লোক পালিয়ে যায়। 

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ইটভাটায় আসলে জামাল মাঝি, নিজাম মাঝি ও দিনাজ তার কাছে ওই লোকটির সন্ধান চান। এতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। এদিকে দীর্ঘসময় ধরে ঘরে না ফেরায় স্বামীকে খুঁজতে ইটভাটায় যান তার স্ত্রী। 

এরপর তার স্বামীর কাছে টাকা পাওনা থাকার কথা জানায় ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। টাকা পেলেই তাকে ছাড়া হবে বলে জানায় তারা। 

ভুক্তভোগী নারী জানান, টাকা না দিতে পারলে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। পরে তিনি বাসায় চলে যান। এরপর গভীর রাতে জামাল মাঝি, নিজাম মাঝি ও মিনাজ ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আরও ছয়জন গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তারা তার ডান হাতে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দেন বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। 

তিনি বলেন, ‘আমরা অগ্রিম কোন টাকা নেইনি। তবুও তারা আমার স্বামীকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছে। আমি ছাড়াতে গেলে তারা আমাকে ধর্ষণ করে। নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশকে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় জানাই। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমার স্বামীকে বাঁধা অবস্থায় পেয়েছে।’

এদিকে ঘটনাটি সাজানো বলে দাবী করে অভিযুক্ত জামাল মাঝি, নিজাম মাঝি ও মিনাজ দাবি করেন, তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ সাজানো হয়েছে। এ রকম কিছুই হয়নি।  

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button