কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয় সংলগ্ন সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে মহাসমাবেশ এবং একই সময়ে ৩০ গজ দূরে কক্সবাজার শহীদ মিনারে জেলা যুবলীগের বিজয় উৎসবের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
রবিবার (০২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান।
তিনি বলেন, দুটি পক্ষের কর্মসূচির কারণে একটি উত্তপ্ত পরিস্থিতির শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্যে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। ১৪৪ জারির নথি থানায় পাঠানো হচ্ছে। এরপর হয়তো মাইকিং করা হবে।
ইতোমধ্যে মহাসমাবেশ আয়োজনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সড়কে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।
বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা কক্সবাজার শহরে তিনটি স্থান মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ঈদগাহ ময়দান কিংবা কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানের যেকোনো একটিতে মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়েও পাননি। তাই কার্যালয়ের সামনেই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। মহাসমাবেশে অতিথি হিসেবে থাকবেন দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতা।
অপরদিকে যুবলীগ বলছে, তারা বিজয় উৎসব করার জন্য পূর্ব থেকেই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিজয় উৎসব সফল করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। এছাড়া সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন। কিন্তু সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এখন পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য বৈঠক চলছে। এরপরই কী সিদ্ধান্ত হয় জানানো যাবে।