জামালপুরসারাদেশ

সেতু ভেঙে পড়ার এক বছর, চরম ভোগান্তিতে স্থানীয়রা

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামে ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু ভেঙে যাওয়ার পর দুই উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ এক বছর যাবত অনেক কষ্টে মধ্যে চলাচল করছেন। গত বছর ২০২০ সালের ২২ জুলাই মধ্যরাতে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ২০০ মিটার দীর্ঘ এই কংক্রিট সেতুটি মাঝের দুটি অংশ ভেঙে যায়। সেতুটি ভেঙে পড়ায় সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে, এতে মানুষের চরম ভোগান্তিতে শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়তই। সাম্প্রতিক কখনো তীব্র রোদে, আবার কখনো বৃষ্টিতে নৌকা পারাপার হওয়ার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয় ভুক্তভোগী ২৫ গ্রামের মানুষের।
কামরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর বলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের অনেক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এবং মাদারগঞ্জ উপজেলার শিদুলী ও আদরভিটা ইউনিয়নের যারা যোগাযোগের জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল তারা ইতিমধ্যেই মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। এছাড়া কামরাবাদ ও সাতপোয়া ইউনিয়নের অধীনে সেতুর পশ্চিমে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গ্রামে বসবাসকারী শত শত মানুষকে তাদের দৈনন্দিন কাজ করার জন্য সেতুর পাশ দিয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরে আসতে হয়, সেতু ভেঙে পড়ায় এক বছর যাবত তাদের চরম সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। শুয়াকৈর গ্রামের ছোরাব উদ্দিন বলেন, ব্রীজটি ভেঙে পড়ার পর থেকে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, আমরা জরুরি ভিত্তিতে নদীর উপর একটি সেতু দাবি করছি।
আদারভিটা গ্রামের লায়লা বেগম বলেন, আমি নদী পার হওয়ার জন্য এক ঘণ্টা ধরে প্রচণ্ড রোদের ঝলকানিতে এখানে নদীর তীরে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি আরো বলেন, শুধু আমি লায়লা নয় এই ভোগান্তি শিকার আমার মত অনেক মা বোনরা। শিশুদের নিয়ে এই নদী পথে চলাচল করা অনেক কষ্টের এবং ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারের উচিত খুব তাড়াতাড়ি একটি সেতু স্থাপন করে আমাদের কষ্ট কমানোর কথা ভাবা।
শুয়াকৈর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত বছর বন্যার পানিতে হারিয়েছে এই সেতুটি মাঝে দুটি অংশ। শধু এই সেতু ভেঙে যায়নি, ভেঙে গেছে প্রায় লক্ষাদিক মানুষের যাতায়াতের এক মাত্র অবলম্বন। প্রতিনিয়তই হচ্ছে চরম ভোগান্তি শিকার। অল্প সময়ের মধ্যে একটি সেতু পুনর্গঠন করা খুবই জরুরি। এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ভাঙা সেতুর পাশে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী। কিন্তু সেটাও আর হচ্ছে না, তবে কেন হচ্ছে না সেটা জনসাধারণের জানা নেই। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হাসান জানান, গত বছর নদীতে প্রবল স্রোতে সেতুটি ভেঙে যায়। এলজিইডি কার্যালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker