

চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১.২ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাবে। এবার জুলাই-আগস্ট সময়ের জন্য সুদসহ এই আমদানি দায় পরিশোধ করতে হবে।
আইএমএফ ঋণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে দেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ হতে হবে ২৫.৩১ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বরের শেষে হতে হবে ২৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে আকু পেমেন্টের পর নিট রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামবে।
৩০ আগস্ট পর্যন্ত রিজার্ভ ২৩.০৬ বিলিয়ন ডলার ছিল। আমদানি বিল পরিশোধের পর ২১.৮৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি অবশিষ্ট থাকবে। জুলাই-আগস্ট সময়ে আকু পেমেন্টের পূর্ববর্তী দুই মাসের তুলনায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আঞ্চলিক আমদানির ক্ষেত্রে ৯টি সদস্য দেশ বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার আর্থিক লেনদেন কাভার করে আকু পেমেন্ট গেটওয়ে।
প্রতি দুই মাস অন্তর এই বিল পরিশোধ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়কালে আকু পেমেন্ট ছিল যথাক্রমে ১.১৮ বিলিয়ন এবং ১.১ বিলিয়ন ডলার। তবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের জন্য আকু পেমেন্ট ছিল ১.৩২ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের মে-জুন সময়ে এটি ছিল ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার।
ডলারের ঘাটতির কারণে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার পরিমাণ কমেছে। এর অর্থ, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি তীব্রভাবে কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, বেসরকারি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৯.৩৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি খুলেছে, যা এর আগের অর্থবছর ছিল ৯৪.২৬ বিলিয়ন ডলার। গত এক বছর ধরে দেশের আমদানি কমলেও রিজার্ভ কমে যাওয়া রোধ করা যাচ্ছে না। এর একটি বড় কারণ হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদায়ি অর্থবছরে বেশি ডলার বিক্রি করেছে।