২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৩টি মামলার মধ্যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪৪ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুল কাদের বাচ্চু, আরিফুর রহমান (রঞ্জু) ও রিপন। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- নাজমুল হোসেন, আলাউদ্দীন, মফিজুল ইসলাম, খালেদ মনজুর রোমেল, মাজহারুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, রবিউল ইসলাম, মো. আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, শেখ তামিম আজাদ মেরিন, রকিব মোল্যা, মো. আক্তারুল ইসলাম (সাবেক মেয়র), মো. মফিজুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, অ্যাড. আব্দুস সামাদ, হাসান আলী, ইয়াছিন আলী, ময়না, আব্দুস সাত্তার, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, মো. তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, মো. মাজহারুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, আব্দুর রব, জহুরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম গোলাম রসুল, অ্যাড. আব্দুস সাত্তার, রিংকু, আব্দুস সামাদ, আলাউদ্দীন, আলতাফ হোসেন, সঞ্জু, নাজমুল হোসেন, শাহাবুদ্দিন, মো. সাহেব আলী, মো. সিরাজুল ইসলাম, টাইগার খোকন, রকিব, টলি শহিদুল, কনক, শেখ কামরুল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম, ইয়াছিন, শেলি, শাহিনুর রহমান, বিদার মোড়ল, মো. সোহাগ, মাহাফুজুর মোল্যা ও আব্দুল গফফার গাজী।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার ওপর আড় করে দিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। হামলায় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিকসহ দলীয় অনেক নেতা-কর্মী আহত হন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.