নওগাঁর ধামইরহাটে কালের আবর্তে ক্রমেই দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। নানামুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার কারণে দেশের জনপ্রিয় শিল্পটি আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্রযুক্তির উন্নয়নে ও নতুন নতুন শিল্প সামগ্রীর প্রসারে এ পেশায় জড়িত শিল্পীরা তাদের পেশা ছেড়ে ভিন্ন ভিন্ন পেশা বেঁছে নিয়েছেন জীবনের তাগিদে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকৃত এ পেশায় নিয়োজিত মৃৎশিল্পীদের মধ্যে অধিকাংশরাই পাল সম্প্রদায়ের। প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় এবং আর্থ সামাজিকতার কারণে মৃৎশিল্প পেশার মাধ্যমে শ্রেণীভুক্ত ভাবে সমাজে বসবাস করে আসছিল তারা। এক সময় তাদের কৌশলী কমল হাতের নিপুন ছোঁয়ায় তৈরি মাটির শিল্পগুলো শোভা পেত গ্রাম-বাংলার প্রতিটি পরিবারের ঘরে ঘরে। পাশাপাশি তাদের তৈরি পণ্যগুলো এলাকার গ্রামের চাহিদা মিটিয়ে শহরের মধ্যেও ছড়িছে পড়তো ব্যাপক হারে। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে মাটির তৈরি জিনিসের চাহিদা থেকে সরে আসছে মানুষ। সময়ের বিবর্তনে প্রযুক্তির যাঁতাকলে ওইসব মাটির তৈরি শিল্পগুলো থেকে প্রতিটি পরিবারে শোভা পাচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম, কাঁচ ও প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যগুলো। প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারায় প্রাচীন এ মৃৎশিল্পটি ক্রমেই হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই আর আগের মত করদ নেই মাটির তৈরী জিনিস-পত্রের।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.