জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উপজেলা মডেল মসজিদের ভিত্তি প্রস্তরের নাম ফলক ভেঙ্গে সরিয়ে ফেলার ঘটনায় সেই প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় গত মঙ্গলবার রাতেই দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালী উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, ঈমাম, রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ উপস্থিত হন। এ সময় সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসান এমপির স্থাপন করা ভিত্তি প্রস্তরের নাম ফলক দেখতে না পেয়ে কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং হট্টগোল সৃষ্টি করেন।
এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির ছবি তোলার চেষ্টা করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি। এতে কর্মী-সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। একপর্যায়ে মারধরের শিকার হন প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি। এ ঘটনায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আরো তিন শ্রমিক আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জামালপুর নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ৬১জনকে আসামী করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই এ মামলায় বিল্লাল হোসেন ও মুন্না (৩০) নামে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, ভিত্তি প্রস্তরের নাম ফলক সরিয়ে ফেলায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে নাম ফলকটি স্থাপন করলে এমন পরিস্থিতি হতো না। পরে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.