অনেকটা নাটকীয়ভাবে নকআউট পর্বে উঠে দক্ষিণ কোরিয়া। শেষ মুহুর্তের গোলে পর্তুগালকে হারানোর পাশাপাশি ঘানা-উরুগুয়ে ম্যাচে নজর রাখতে হয়েছে তাদের। সেই ম্যাচের সমীকরণও তাদের পক্ষে আসায় উল্লাসে মাতে এশিয়ার দেশটি। দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের প্রতিপক্ষ হট ফেভারিট ব্রাজিল। তবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে নামার আগে দলের কোচ পাওলো বেন্তো জানালেন, একদম ভীত নন তারা।
ব্রাজিলের বিপক্ষে পরিসংখ্যান খুব ভালো নয় দক্ষিণ কোরিয়ার। মোট ৭ ম্যাচ খেলে ছয়টিতেই হেরেছে তারা। একমাত্র জয় ১৯৯৯ সালে প্রীতি ম্যাচে। সাম্প্রতিক সময়েও দেখা হয়েছে দুদলের। গত জুন মাসে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় কোরিয়ানরা। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে দুদলের এবারই প্রথম দেখা।
দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪ মাঠে বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাত ১টায় কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে নামবে ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া।
তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলের কোচ বেন্তোর কণ্ঠে পাওয়া যায় তুমুল আত্মবিশ্বাস, ‘তারা বিশ্বমানের। তবে বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে আমরা ভয় পাই না। আমাদের দলেও বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, আমাদেরও সুযোগ আছে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা জিতে দেখাতে চাই, শেষ বাঁশির আগ পর্যন্ত লড়তে চাই।’
নকআউট পর্বের আশা একসময় মিইয়ে গিয়েছিল কোরিয়ার। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পেয়ে এখন তারা ফুরুফুরে। হারানোর আর কিছু নেই, যা আছে সব পাওয়ার। এই মন্ত্রই তাদের সেরাটা বের করে আনতে পারে বলে মনে করেন দলের কোচ, ‘প্রতিটি ম্যাচের প্রতি মুহূর্ত মূল্যবান। আমাদের দলের মনোবল দারুণ। এতদূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি এজন্য সবাই ক্ষিপ্র আছি।’
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল কোরিয়া। এক যুগ পর আবার তারা পার হতে পেরেছে প্রথম রাউন্ডের বাধা। এই পর্যন্ত আসা যে ফ্লুক নয় সেটা দেখিয়ে দিতে চাইছে দলটি, ‘এটি নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হবে। সবাইকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই কেন আমরা ১২ বছর ধরে অপেক্ষা করেছিলাম। আমাদের লড়াইয়ের মনোভাব দিয়ে নিজেদের নিংড়ে দিতে হবে।’
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.