ভারতের বিহার রাজ্যে শিকারিদের গুলিতে মৃত্যু হলো এক মানুষখেকো বাঘের। কমপক্ষে ১০ জনকে মেরেছিল সে। এর পরপরই বাঘটিকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশও জারি করা হয়েছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ও আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (৮ অক্টোবর) শিকারিদের গুলিতে মৃত্যু হয় বাঘটির। তার সন্ধানে পশ্চিম চম্পারণ জেলার বাল্মীকি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছিলেন প্রশিক্ষিত শিকারিরা।
এর আগে শুক্রবার, বিহারের বন দফতর বাঘটিকে দেখামাত্র গুলি করে মারার নির্দেশ জারি করে। যদিও সেপ্টেম্বর থেকেই বাঘটির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ ছিল স্থানীয় মানুষ।
সবশেষ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) একটি আখ ক্ষেতে কর্মরত বছর পয়ত্রিশের এক ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে বাঘটি। কিছু দূরে ওই যুবকের ঘাড় ভাঙা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাল্মীকি জাতীয় উদ্যানের আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। পরে তারা বন দফতরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে পথ অবরোধ করে। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতে হেনস্থার শিকার হন এক বনকর্তা। ভাঙচুর করা হয় বনবিভাগের একটি গাড়ি।
বিক্ষোভ ও নতুন করে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় পরেই তড়িঘড়ি করে বাঘটিকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ জারি হয়। তার গতিবিধি বুঝতে ওড়ানো হয় ড্রোন।
এরইমধ্যে শনিবার বাঘটি আবার হামলা চালায়। গোবর্ধন থানা এলাকার বালুয়া গ্রামে সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন এক মহিলা। বাঘটি মহিলা ও তার সন্তানকে তুলে নিয়ে যায়। পরে দু’জনেরই মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পরে শনিবারই বন দফতর জানায়, শিকারিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বাঘটির।
বিহারের বন দফতর সূত্রে বলছে, বাঘটির বয়স সাড়ে তিন বছর। শুধু শিশু বা মহিলা নয়, বাঘটি সব বয়সের মানুষের উপরই হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত ১০ জনকে মেরে ফেলেছে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, একাধিকবার বন দফতরের পাতা ফাঁদ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে মানুষখেকোটি। অবশেষে শনিবার শিকারিদের গুলিতে মৃত্যু হয় বাঘটির।
এদিকে বাঘের মৃতদেহটি গ্রামে আনার পর গ্রামবাসীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, গ্রামবাসীরা উল্লাসে মৃত মানুষখেকোর গায়ের লোম ছিঁড়ে ফেলছেন। যদিও সেই ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি দ্য হিন্দু বা আনন্দবাজার অনলাইন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.