শেরপুরের শ্রীবরদীতে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আহত মনু মিয়া (৭৫) নামে আরও একজন মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার কাকিলাকুড়ার খোশালপুর পুটল গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হলো।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার গেরামারা গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর সাথে পটল গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর স্ত্রী মনিরা বেগম স্বামীর সাথে রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান। গত ২৩ জুন সন্ধ্যায় মিন্টু মিয়া বোরকা পড়ে শ্বশুর বাড়িতে যান এবং তাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিন্টুর স্ত্রী মনিরা বেগম (৪০), শেফালী বেগম (৬০) ও জ্যাঠা শ্বশুর মাহমুদ হাজী (৬৫)।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন বাচ্চুনী বেগম (৫২), শ্বশুর মনু মিয়া (৭৫) ও মনু মিয়ার ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (৪০)। পরে আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা চলছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে মনু মিয়া হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পরে বাড়িতেই মারা যান।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ট্রিপল মার্ডারের ঘটনার পর মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্ত মিন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। মিন্টু মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
বর্তমানে মিন্টু মিয়া জেলা হাজতে আছেন। মামলাটি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। দ্রুতই এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.