লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সোমবার (২৯ আগস্ট) থেকে আবারও অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তিন মাস আগে চলা অভিযানে অনেক প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে লাইসেন্স নেয়া বা নবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে বহু প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশে সাড়া দেয়নি বলেই আবারও অভিযানে নামলো কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সেবার মান প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-জনবল ও চিকিৎসা উপকরণ আছে কিনা সেটিও তদারকি শুরু করা হবে।
অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে গেলো ২৬ মে সপ্তাহব্যাপী একটি অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই অভিযানে অবৈধ ও মানহীন ১ হাজার ৬৪১টি অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। সেইসাথে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ত্রুটি সারিয়ে নিবন্ধন ও নবায়নের সুযোগ দেয়া হয়।
সেই নির্দেশ অনুযায়ী তিন মাসে নতুন নিবন্ধন করেছে এক হাজার ৪৮৯টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিবন্ধন নবায়ন করেছে ২ হাজার ৯৩০টি। এতে সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা।
তবে এখনও অনিবন্ধিত রয়ে গেছে প্রায় চার হাজারের মত বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তাদের বিরুদ্ধেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অভিযান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর জানিয়েছেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে দেখা হবে হাসপাতালগুলোর সেবার মান। সেই মান অনুযায়ী সেগুলোকে এ, বি ও সি এই তিন শ্রেণীতে ভাগ করে তা জনগণকে জানিয়ে দেয়া হবে।
তবে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অভিযানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি এম এ মুবিন খান ।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.