টাঙ্গাইলের মধুপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যাব-১২’র সিও, পুলিশের এএসপি, ৩২তম বিসিএস ক্যাডার ইত্যাদি পরিচয়ে চাকুরি দেওয়া, নিলামে কম দামে গাড়ি কিনে দেওয়া ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়া ইত্যাদি নানা প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব। আটককৃত মো: মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাতুল ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার রান্দিলা ধলিয়া গ্রামের মো: আবুল হোসেনের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি সেট ও চার্জার, জনতা ব্যাংকের দুইটি চেক বই, দুইটি চাকুরী দেওয়ার জন্য বায়োডাটা, তদন্ত অফিসার হিসেবে তিনটি মামলার এজাহারের ফটোকপি, কাস্টমস্ অফিসারের ছাড়পত্র লেখা সংযুক্ত দুইটি মোটরসাইকেলের নিলামের ভুয়া ফটোকপি ইত্যাদি প্রতারণার আলামত জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২’র সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।
তিনি জানান, মো: মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাতুল বিভিন্ন সময় নানা পরিচয়ে প্রতারণা করতেন। চাকুরি দেওয়া, নিলামে কম দামে গাড়ি পাইয়ে দেওয়া, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়া, খন্দকার রাতুল নামে আবাসিক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ ও চাকুরি দেওয়া, উচ্চ পদস্থ অফিসার হিসেবে মামলার তদবির করা ইত্যাদি অপরাধের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন।
কোম্পানী কমান্ডার আরও জানান, বিভিন্নজেলার নানা জায়গায় অবস্থান করে তিনি প্রতারণা করছিলেন। ৬-৭ মাস আগে টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে নানা স্থানের চায়ের দোকান ও অন্যান্য দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের টার্গেট করে তিনি প্রতারণার ফাঁদ পাতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। তার নামে ২০০৭ সালে ময়মনসিংহ সদর থানায় একটি প্রতারণার মামলা রয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.