লালমনিরহাট

লালমনিরহাটে ১০ মিনিটের শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড

লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১০ মিনিটের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান, ভুট্টা ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বেশকিছু বাড়িঘরেরও ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা উপড়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

Mission 90

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের উপর দিয়ে এই ঝড় ও শিলা বৃষ্টি বয়ে গেছে। সবচেয়ে তিস্তার চরাঞ্চলগুলোতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ো হাওয়ায় উপড়ে গেছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি। ধান ও ভুট্টা গাছগুলো হেলে পড়েছে। তামাক গাছ ঝরে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝড়ের আঘাতে অধিকাংশ ঝুপড়ি ঘর, টিনশেড ঘর, সেমিপাকা ভবন, দোকানপাট, বিদ্যুৎতের খুঁটি, গাছপালা ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে যাপন করছে। বড় বড় আকারের শিলার আঘাতে অনেক হালকা ও পুরাতন টিনের ঘর ফুটো হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা জানান, শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করে আকাশ অন্ধকার হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই প্রবল বেগে ঝড় বাতাস শুরু হয়। নিমষেই ঘরবাড়ি দোকানপাটসহ লন্ডভন্ড করে দেয়। এ ঘটনায় অনেক মানুষ নিজের ঘরসহ আসবাবপত্র রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন।

তারা আরও জানান, ভুট্টাক্ষেত এই জেলায় ভুট্টা তামাক ও আদর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে খাদ্য সংকটের শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলায় শিলাবৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন কৃষকরা। যা এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়েছে।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের উপ পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ত্রাণ সহায়তা করা হবে। একইসাথে কৃষকরা যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখে কৃষি সম্প্রসারণ এর কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের কাজ করবে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker