অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন, উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন ও গান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লিখন মিয়া।
রবিবার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না সে বিষয়ে জানতে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মারধরের ঘটনার তদন্তে জেলা ছাত্রলীগের ছয় নেতার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ অবস্থায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বেলায়েত উল ইসলাম শাওনকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে পূর্বশক্রতার জের ধরে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ সরোয়ারকে নিজ গ্রাম গান্দাইলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার দুই পায়ের নিচের অংশে জখম করা হয়েছে। তাঁর বাঁ পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। তাঁকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ওই দিন রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তবে এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এদিকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের সীমান্তবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে গান্দাইল গ্রামবাসী এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের একাংশ।